সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে…
আসড়
অনুভব আহমেদ
শব্দকে নিঃশব্দ করে দিয়ে তাকিয়ে থাকি অনন্তের দিকে
মিলাই না আর নিজেকে
আরও গভীরে নিমজ্জন পৃথিবীর
তূর্ণাভ গাঢ় স্বরে কাঁদে বাবলা গাছ
নম্র ধারণার গাঢ় শরীরে খঞ্জরপ্রবণ নিঃসঙ্গতা
মানুষ মূলত প্রতারণাই, ফাঁদ পেতে আটকে থাকে
রাতের ঠোঁটে ঠোঁট চেপে হজম করে নেয় নিজেকে
আহা রোদ!
নগ্ন মাঠে কিশোরের দেহ উপল ধারা, কেবল সকাল হলো
বুনেছে সে বাসনার বীজ
ঢেউয়ের ভেতর থেকে জাল কেটে বেরিয়ে
তোমাকে ছোঁবো? তোমার উদ্দেশ্যহীন সারাদিন
মাস্ক এটে বসে থাকে বোধ, নিঃশ্বাস বিদখুটে খুব
জিরাফের দেশে আকাশ নীচু হয়ে বলে কথা, পিঁপড়ের দেশে উচ্চতার ধারণা
ধীর বায়ু কাঁপা তরু
গতিকে বলে-চলো আমরা আজ বহুদূর
সেইসব শ্রুতির দেশ থেকে ভেসে আসি যেখানে নেই বিপন্নবেলা।
থৈ থৈ নিরবতা
আতিকুর রহমান হিমু
ভাঙা ব্লেটে কেঁটে যাওয়া জীবনের জীবাণু মুছি
গোপন কান্নায়
মার্বেল চোখের স্তব্ধতায় ধূসর ভোর
রক্তাভ সূর্য ঠোঁটে উড়ে যায় চতুর ঈগল
রোদ্দুর রোদ্দুর চিৎকারে সন্ধ্যা কড়া নাড়ে।
মেঘের জাজিমে ঈশ্বর ঘুমিয়ে আছেন।
থৈ থৈ নিরবতা। মানচিত্র যেন মৃত্যু বাড়ি।
তুমি এবার মানুষ হয়ে ওঠো।
মানুষের দুঃখে ব্যথিত হও।
নত হও নিজের কাছে।
ক্ষুধার্ত লাটিমের বয়ান
আদিত্য আনাম
ক্ষুধার্ত লাটিম হয়ে ঘুরতে ঘুরতে আমরা হঠাৎ থেমে যাই
হাত থেকে মাটি, মাটি থেকে হাত
যেভাবে দিন ঘুরে রাত, আর রাত ঘুরে দিন আসে!
অতিরিক্ত অংগের অভাবে আমাদের পুরোটাই শরীর, পুরোটাই ললাট
আমাদের ললাট বেয়ে ক্রমশঃ বেড়ে ওঠে দড়ি
শরীর পেঁচিয়ে নিক্ষেপ করা হলে আমরা অবিকল্পসুখ নিয়ে ঘুরি
এবং ততক্ষণ সচল থাকি।
এখানে যে-কেউ আমাদের ঈশ্বর হতে পারে বিনাদ্বিধায়
যে-কোনো সময় আমাদেরকে ঘোরাতে পারে যে-কোনো ঈশ্বর।
পরিত্যক্ত গোধূলির মতো আমরা নিরুপায়,
পরে থাকি মাটিকে আঁকড়ে ধরে
আমাদের পা নেই, হাত নেই, চোখ নেই, নোখ নেই
তবু আমরা ঘুরতে পারি!
শুধু ছুঁড়ে ফেলার মতোন প্যাঁচালো আঘাত পেলেই ঘুরি
মূলত ওটুকুই আমাদের গর্ব!
ওটুকুই আমাদের লজ্জা!
আমরা কোনদিন কোন ঈশ্বরের নাগালের বাইরে যেতে পারিনি
কিংবা ঈশ্বর ছাড়া আমরা নির্জীব।
আমরা পরিত্যক্ত হতেই পছন্দ করি
কেননা আমাদের কোনো নিজস্ব বোধ এখনও জন্মায়নি অথবা নেই…
উপেক্ষিত ক্রেঙ্কার
পৃথিবীর সমস্ত খানকির পোলা ঘুমিয়ে গেলে আমি একটি সিগারেটের পুটকিতে নির্বিঘ্নে চুমু এঁকে দিতে পারতাম!
শরীরের গাঁটে গাঁটে এমন ক্লান্তির বারোটা বাজিয়ে নেমে যেতো না আমার ছন্নছাড়া বীর্জ।
হায় ঈশ্বর! শুয়োরের বাচ্চা!
এমন পোড়াচোদা কপালে কেন শকুনের চাষাবাদ?
আমি ক্রমশ চাপা পড়ে যাচ্ছি মাংসের দাপটে
আমার হৃদয় জুড়ে কবিতার মর্মাহত ভোদা!
শুয়োরের বাচ্চারা পালাক্রমে আলুথালু করে গ্যাছে সব।
আমার সঞ্চিত স্বপ্নগুলো ইঁদুর খেয়ে নিয়ে বিড়ালের দাঁতে আজ ঝুলে ঝুলে আছে।
এই বালছেঁড়া চতুরের দেশে আমি হয়ে গেছি এক বঞ্চিত বাঞ্চোদ।
পৃথিবী গোলাকার! তাতে আমার কি বাল?!
সকালে খাওয়া হয় নি,
দুপুরে পঁচিশখণ্ড রবীন্দ্ররচনা পুড়িয়ে এখন রাতের ভাত রান্না করছি,
আমার পেটে বিধ্বংসী ক্ষুধা!
শাউয়ার ‘কাব্যতত্ত্ব’ পড়ে আমি কি করবো?
প্রেমিকাদের ফিরে পাবো?
নাকি চুরি যাওয়া সেই হারানো শৈশব ?
উপদেশ দিতে এসো না মাদারচোদ!
আমি এখন উন্মাদ, ঠিক তোমার পিতাজানের
আস্ফালিত লিঙ্গের মতোন।
অশ্লীল চোদাও কেন অসুস্থ মগজ?
সমাজের পেটিকোট খুলে খুলে তুমি কত কিছু চেটেছো, আমি কি দেখিনি?
নির্লজ্জ কাকে বলো,হে চোদারু ভাবুক?
আমি তো জানি সব নিগূঢ় নষ্টামি!
ভুলে গ্যাছো মারা-খাওয়া রাতের কথা?
দুইচোখে আমার ঘৃণার পারদগুলো ঝরছে!
চ্যাটের বিদ্রূপ নিয়ে বিব্রত কনডম খানা ফেটে গ্যাছে,
অথচ, চারপাশে কোনো পরিধানযোগ্য পলিথিনও অবশিষ্ট রাখেনি কুত্তার বাচ্চারা!
পৃথিবীতে আবর্জনা বেড়ে যাচ্ছে।
কাক জাতীয় হচ্ছে না কেন?
বোকাচোদা তাই?
নাকি কোকিলের মায়েরে চুদে দেবার মতো সাহস নেই বোলে?
মানুষগুলি নিতান্ত গরু হয়ে যাচ্ছে
পৃথিবীটা সুশীল খামার এবং
সেখানে ওলানের জং নিয়ে
দুধেল গাভীগণ জাবর কাটাচ্ছে বলদের সাথে।
পৃথিবীর সমস্ত মাদারচোদ ঘুমিয়ে গেলে
আমি পৃথিবীটা গুছিয়ে নিতে পারতাম!
কিন্তু পারছি না, কারণ খানকির পোলারা ঘুমাচ্ছে না, সবকটা পিল খেয়ে জেগে আছে।
হিন্দু বাড়ির পরিত্যক্ত ভিটেমাটিতে বসে মা অজু করেন
কবির হোসেন
হিন্দু বাড়ির পরিত্যক্ত এই পোড়া ভিটেমাটিতে যারাই ঘর রোপণ করেছে, মা, শুনেছি সবার সংসারেই নাকি আগুন ফলেছে। আর বন্যার এত এত জল ও ঢেউ, চারপাশের ভিটে তলিয়ে দিতে পারলেও নাকি পারেনি তাকে ছুঁতে। যেন দ্বীপের মত মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, আর চারদিক থেকে ঢেউ ছুঁতে এসে মুখ থুবড়ে ফিরে গেছে। মা, এই দ্বীপে কি কোনো আগ্নেয়গিরি লুকিয়ে আছে? যারাই আসে তাদেরই দেখি বুকের দ্বীপে লুকিয়ে থাকা হৃদয় পুড়তে থাকে। মা, নানাবাড়ি এলেই কেন এই ভিটেমাটিতে বসে ফ্রিজের ঠান্ডা জলে অজু করেন? জলে অজু হয় নাকি অজু করতে হয় পানিতে? এটা জেনেই কি এখানে অজু করেন— অজুর জলে ভেজা হাতে কেউ পারে না আগুন লাগাতে! মা, এটা কি আপনার কৈশোরের সেই বান্ধবীর ভিটে, যার সাথে নদীর পাড়ে ঘর বানানো খেলায় হেরে গিয়ে আপনি তার ঘরে পানি ঢেলে ধসিয়ে দিয়েছিলেন! আর যখন তাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিল মোল্লারা, তখন হাতের কোষ ভরে জল এনে আপনার সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল, আরও জল লাগবে কিনা প্রশ্নে কেঁদেছিল অঝোরে!
মা— এখানে বসে অজু করেন আপনার ভেতরের পোড়া ভিটেমাটি ভেজাতে!
বিধর্মের ভাই
কায়েস সৈয়দ
অনেকেরই ধর্মের ভাই থাকে আমার আছে একজন বিধর্মের ভাই শুধুমাত্র নাম শুনেই যে নদীর প্রেমে পড়া যায় সেই যাদুকাটা নদীর জলে স্নান করে আমরা একচোখে দেখেছি জীবন ও জীবাশ্ম। দূর থেকে পাহাড় ছুঁয়ে তাহিরপুর যেতে যেতে আমরা ছুঁয়ে ফেলি একে অপরের দুঃখ। শিমুলবাগানের সব শিমুল জড়ো হয় আমাদের চোখে। রক্তলাল ভীষণ। মানুষ মূলত তার দুঃখ আড়াল করতেই তার চারপাশে আনন্দের দেয়াল গড়ে। তাতে আস্তর করে মাখে বাহারি সব রঙ। আবার মানুষ মমতার কাঙাল। সামান্য মমতার স্পর্শেই সেই দেয়াল মোমের মতো গলে যায়। আমাদের দেয়ালশূন্য ঘরে স্মৃতি আর বিস্মৃতির জানালা খুলে আমরা হয়েছি কষ্ট বিষয়ে নস্টালজিক। পরিচয়ের পর থেকে কখনও আমাদের মাঝে মনোমালিন্য হয়নি বরঙ সময় যতো গেছে দুজনের অনুভূতি হয়েছে ততো প্রগাঢ় মমতা পরিণত হয়েছে মায়ায়
আমার মেজোভাই একজন মোয়াজ্জিম কিন্তু কট্টর না। আমার মা যাত্রাপথে অন্য ধর্মের কারো সাথে একসাথে বসলে বাসায় এসে গোসল না করা পর্যন্ত কোনো কিছু স্পর্শ করেন না অনেকবার বলতে বলতে বিধর্মের ভাইটা আজ আমাদের বাসায়। মেজোভাইর রুমেই শুতে দিলাম তাকে।
আমি আর আমার সেই ভাই একবাসাতেই আছি। কিন্তু খেয়াল করলাম আমার ভেতরে কাজ করছে হীনমন্য এক আশা মেজোভাই আর মা যেনো টের না পায় আমার আদরের বিধর্মের ভাইটার ব্যক্তিগত ধর্ম কেননা তার গলায় শোভা পাচ্ছে তুলসিডাল আর সূতোয় গড়া ঐতিহ্যের মালা সঙশয় কাটিয়ে বারবার বলতে গিয়েও বলতে পারিনি এই হলো মৃদুল কান্তি সরকার আমার আদরের বিধর্মের ভাই
সিঁদুরের রং
জয়ন্ত বিশ্বাস
: এরাম জোয়ান মদ্দ, হাতায় এটুক সিন্দুরের রং দেইখা ডরায়। হি হি হি!!!
: ওই খানকি মাগী, বেশি বুঝস ক্যান? ওয়াজে কইছে হুনোস নাই – শিরকিঅলা জায়গাগুলাতে শয়তান আর বদ জ্বিনে ঘুইরা ব্যাড়ায়। তহন বাড়িডা হাউয়া তালমতো পড়ে নাই; থালে লাইগা ক্যাম্নে জানি গেঞ্জির হাতায় লাইগা গেলো। এহন দ্যাখলেই ঘিন্না লাগতাছে রে। এতক্ষন ধইরা বিছড়াইতাছি- ওঠবে না ক্যান!
: ওগুলান মালাউন বেডিগো আহ্লাদ। অত ডরানোর কিছু নাই। কাইলকা হুইল ডলা মারলেই দাগ-ফাগ উইঠা যাইবো। এহন হুইতে আহো।
: হ রে বউ, ঠিকই কইছোস।
….ওই, তর কপালে ওইডা লাল-লাল কী দ্যাহা যায়! সিন্দুরের মত লাগে…মালাউন বেডিগো মতন!
: ধুরো, বাইরে গ্যাঞ্জাম কইরা চোখের মাথা গ্যাছেগা তুমার। সিন্দুর আসবো কই থেইকা? চান্দের আলো হইবো। হি হি হি!!!
: হেইডাই হইবো, হুই গা।
…..কিন্তু এতো লাল…সিন্দুরের মতোও না পুরা..রক্তের মতো….
….ওই মালাউনের বাচ্চাগো রক্তের মতো লাল…
দহন
জহির রিপন
আমার মায়ের নাম সরলা দেবী
আমি তার চোখের মণি।
পাপড়ি ধর আমার দিদি,
আমি তার মাথার সিঁথি।
রনি দাশ বন্ধু আমার,
আমি তার বুকের পাজর।
এইসব আমি লিখছি যখন
পুড়ছে তাদের ঘর তখন।
আমার নাম জহির রিপন,
ওরফে জহিরুল ইসলাম রিপন
কী করে হায় মুছব আমি
তাদের চোখের জল।
ঘর পুড়লে ঘর গড়া যায়
মন পুড়লে যায় না গড়া মন৷
সম্প্রীতির বাংলাদেশ
দিপংকর মারডুক
রোদ পড়ে গেলে আমরা বসে থাকতাম ঠাকুরবাড়ির মাঠে
কখন শেষ হবে আযান, পৌঁছে যাবে শঙ্খের ধ্বনি
প্রতিটি মানুষ জানে পরিদৃশ্যের তলদেশ
অসংখ্য বাগানের সূর্যলতা কিংবা কচুরিপানার ক্ষতি
যেন বল-ব্যাট, দাড়িয়াবান্ধার পাণ্ডুলিপি হাতে
ছুটে যেতো হিন্দু-মোসলমানের ছেলে
কেন আজ নির্জন সম্প্রীতির রোল
দূর বাউবনের গোধূলি
এই ক্ষমা চাইবার দিনে প্রতিধন্ধী হয়ে উঠছে মন্দির-মসজিদ
হাওয়ার কথা ভাবি প্রতিবেশী হওয়ার আগে
যে ছেলেটি প্রবাসে বৃষ্টি হলে কাঁদতে জানতো
আজ সে বাহু-বন্ধন ছিঁড়ে মূর্তি পদদলিত করতে ব্যস্ত
যা কিছু মিথ্যে সাহসে ঘুরছ যুবক, এই ইস্পাতের উৎসবে
এবং গভীর সাজানো বিন্যাসে
তার চর্তুদিকে ক্রমাগত বিচ্ছেদ
এসো আমাদের স্বদেশে, সর্ষের অন্তরালে
যেখানে বিদ্রূপ নয়–বেঁচে থাকে মানুষ, মানুষে এবং মানুষ
২.
এখন বসে থাকতে হয় নির্মাণের বিকল্প হতে হতে
আজ যার সম্প্রীতির সজ্জা তার প্রতিপক্ষ যেন একটি তুলসীগাছ
যে মেয়েটি দৃশ্য দেখিয়েছিলো
আর ভেবেছিলো সেও ধর্মপ্রাণ হিন্দু
যেন তাকে উৎসবের বিপরীতে হত্যা করা হয়
অথচ দেখুন, অক্টোবরে তারা জ্বালাচ্ছে বাংলাদেশ শান্তির আগুন
রক্তজবা
দীপ্ত উদাস
ফুলের মতো ফুটলে ফুল
ঝরে পড়ুক অবিরত
ফুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ুক
শিরায় বহতা রক্তের মতো।
ঐশী বাণী যার যেমনই
মানুষ মোরা ধরণীর
সব মিলে সব না সৃজিলে
কেন মানুষ হয়ে জন্মিলে!
কুত্রাপি
দ্রাবিড় সৈকত
অদ্ভুত বিমারে নীল হয়ে গেছে দেশ
বদ ভূত সীমারে দিল সয়ে গেছে বেশ
না দেশ না বেশ, বেঢপ বিকারের নাম ধর্ম ও ধড়িবাজ
ধরি আজ ঘুটঘুটে অন্ধকার, মগজে মুখস্ত মুহুরির শ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ খেলা
অবেলা, আলো কি অবশিষ্ট আছে?
ক’বেলা ভালোর সাথে মন্দ মিশালে তারে পুরোপুরি ঘৃণা করা যায়
হুড়োহুড়ি সিনা টান করে যারা চলো চৌবাচ্চায়
লজ্জায় মরিনি এখনো, তবে খোলা বাতাসের দিকে চোখ তুলে চাইতে পারি না
বাড়ি না, উঠোনও না, না লোকালয়-জঙ্গল শুধু, পুরো দেশ বীভৎস বিকারের মেলে আছে ডালপালা।
উনিশ আর বিশ
নীহার লিখন
যাকে ধর্মের নামে মারলে, আগুনে ছুঁড়লে, ছাগলের মত টেনে নারীটাকে রাস্তায় করলে, শিশুটাও পেলো না রেহাই
একবার এক মনে নিজেকে জানতে চেওতো, কী কী করলে, এহেন কাজগুলোর মাঝে কোন ঈশ্বরকে তুমি তুষ্ট করতে চাও ভাই!
এ হচ্ছে প্রাথমিক জ্ঞানের প্রশ্নটি, কী মহান ব্রতে তুমি ঢুকাতে পারো, তোমারই দুধের মেয়েটার খেলার সাথীর যোনীতে বৃষ-শিশ্নটি!
বাড়ি ফিরে হাতের রক্ত ধুয়ে যখন ভাতে হাত দাও, মা যখন পাশে বসে তাকিয়ে তোমার মুখে তাকিয়ে থাকে, তার চোখের ভাষায় কি কোনো আরেকটা সন্তানের ধর্ষিত মা’টার গোঙানি শুনো না! ভেবে উত্তর দিও যদি পাও।
ও আমার ভাইটি, তোমাকে শুধাই, ধরো দুজনরই শরীরটা যদি কাটে কোনো বিষধর, মানুষের নীল দেহে ফারাকে ছেয়েছে কি সেই বিষ, অন্ধটা ফারাক করে কি মানুষের হাতে রেখে হাত, খুঁজে পেতে দিশ?
ধর্মের মানে তুমি যাকে মারো, তার রক্ত হদিস করে দেখোতো কখনো, পার্থক্য হয় কি, উনিশ আর বিষ?
ফরহাদ নাইয়া’র কবিতা
গাছ চিরকাল গাছ
পাখি চিরকাল পাখি
মানুষ না পাখি না গাছ
না নদী না মাছ
মানুষ কেবলি মুসলমান
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান
চাকমা, মারমা, শিখ
আস্তিক, নাস্তিক।
২.
ব্যাঙের বেশে তোমারে পাইলে
আমি হবো সাপ
সাপের বেশে তোমারে পাইলে
আমি হবো ময়ুর।
৩.
দরদের ঘর ভেঙে গেছে
এই ক্ষুদ্র কবিতা
দুর্গা তুমি মাড়িয়ে যেও
আল্লাহু আকবার বলে যখন
মানুষের ঘর করা হয় লুট
আল্লাহ ছোট হয়ে যায়
ছোট হয়ে যায় যিশু
ছোট হয় ভগবান।
মন্দির ভেঙে কি
খোদারে পাওয়া যায়?
মসজিদ ভেঙে ভগবান।
জানিনা। প্রতিবেশী বন্ধুর হক
নষ্ট করে কে পায় বেহেশত
দেখা যাবে চির বিচারের দিন।
৪.
জন ঢেউ এভাবেও নামে
হিংসারা থামে কই গিয়ে
ধর্ম আছে কি নাই ভাবিনা
বিচিত্র ফুলের মতো
থাকতে পারিনা আমরা।
কেউ নামিয়ে দিয়েছে মাঠে
খেলছি মোষের লড়াই
আপন ভাইকে ভুলে গিয়ে
তার পেটেই মারছি গুতা।
সকল দরদ থেকে
সকল প্রাণের বাইরে গিয়ে
আগুনকে কুত্তার মতো মানিয়েছি পোষ।
দোষ কাকে দিব
ঈশ্বর সকল দোষের ঊর্ধ্বে।
এনট্রপি…
বাদল ধারা
~
প্রতিটি মানুষের কণ্ঠে ~ গেঁথে আছে ~ যুদ্ধের কাঁটা
প্রত্যেকেই ~ পরস্পরের অভিমুখে ~ তাক করে রাখে ~ গুপ্ত হিংস্রতা
দৃষ্টির কম্পাস ~ আরো গাঢ় ~ আরো তেজস্ক্রিয় ~ হয়ে ওঠে
আমারিই রক্তাক্ত ক্রুশ ~ দাঁড়িয়ে আছে ~ দিগন্তের কার্নিশে
মাছরাঙা শিস ~ দাগ কেটে যায় ~ শরীরের ~ বাঁকে বাঁকে
আঁধার সমগ্র ~ আমার কপালের খাদে ~ চোখে
অসীম ঘনত্বের ~ তাড়না ~ অন্তঃপ্রবাহ জুড়ে
ভোরের বিজ্ঞাপন
মাসুদ পথিক
ভোরের কেউ নই আমি রাতের কেউ হতেও পারি
যখন গ্রামের বুক চিরে ফেরে মালগাড়ি
গলিমুখে বেওয়ারিশ কুকুর আর ট্রেনের চাকা
হলে মুখোমুখি জয়ী হয় ‘অতীত
তুমি এলে ঘর ছেড়ে, আমি ঢুকে পড়ি তোমার কফিনে
বর্তমানের গলি দিয়ে ঢুকে কফিন
ভবিষ্যতের পাড়ায় ঢুকার মুখে’ হয় অতীতের হাতে ধরাশায়ী
তোমার গায়ে আছে উজ্জ্বল কফিন
বৃষ্টি এলেও ভিজে যায় না দেহ, কিন্তু
দমবন্ধ এই পোশাকে আটে না আমার মন
ফলে আমি বেরিয়ে পড়ি গলির শেষ ধাপে
দেখি, বাড়ির দরজার মুখে দাঁড়িয়ে আছে সুফলা
ওগো ধান! কলহাস্য রমণী, একী!
বৃষ্টি নেমে আসে, নিকটবর্তী সোনা মাঠের বুকে
ট্রেনের সিটি ও কুকুরের ধ্বনিগুলি
তৈরি হয় ভিজ্যুয়ল, তোমার যৌন ইমেজ ও বুলি
সুফলা তোমার মাথায় ধরা রঙিন ছাতা
কীটনাশক ও বাণিজ্যপ্রবন ভোরের কলতান
গলিমুখে আমি সে লাজুক যুবক
আমি কেউ নই ফিউশনের, গানের, তবু
ভোরের আলোর মতো ফুটে উঠছি কেবল বিজ্ঞাপনে
হিন্দুগাছ
মাসুদার রহমান
এক একটি শ্বাসকষ্টের দিনে চা-এ তুলসীপাতা
মিশিয়ে খাচ্ছি
আর ভাবছি, তুলসীগাছ হিন্দুবাড়ির গাছ
গাছের জগতে তাহলে তুলসীগাছ হিন্দু-ই!
এই কাঠুরে মুলুকে সব আহম্মক কাঁ হে কাঁ!
না হলে কে ভাবছে-
তুলসীর পুরুষাঙ্গ ছেঁটে তাকে মধ্যবর্তী বানাতে
বাঞ্চোদদের জন্য গালাগাল
ম্রিতোষ তত্রাচ
ওদেরকে শূয়োর খানকির পোলা বলে গালি দেওয়া যেতো
কিন্তু শূয়োর আর খানকিকে তো অপমান করতে পারি না!
বরং টাকার বাচ্চা টাক শিক্ষিতচোদা বলে গালি দিতে পারি
ওহে অন্ধ! ধার্মিক-
লোভের প্রাচীর ঢিঙিয়ে
এসো ভয়ের ভং ভেঙে
প্রাণে মিলাই প্রাণ
হাতিরপুল/২৮২২১
কথা বলিস না ভাই
এইখানে
আশেপাশে
প্রচুর
চুদিরভাই
চুপ মার
খিচ খা
মাটি কামড়াইয়া থাক
কথা বলিস না
চুদিরভাইগো সাথে আছে শালার ভাই
নানার ভাইরাও কী কম যায়?
ওরে কথা কইস না
হোগার নাতি
চুপ কর
আশেপাশে
প্রচুর
মশার মতো ভনভন করে
চুদির ভাইয়েরা
সুযোগ পাইলে হুল বসায়
তাদের আছে বড় হোল (বিচি)
একটা কোনরকম স্বাভাবিকতা
রক্তিম রাজিব
আমি পারিনা। এরকমে তো কখনই সাজিনি। অবজ্ঞা করতে গিয়ে কেবল কিড়মিড়ানিটাই বেড়েছে। হরেক পশলা আয়োজনের মাঝে হাজারটা আক্ষেপ মাথায় চেপে ওঠে, পাশাপাশি বুকটা যায় নেতিয়ে। কি হবে আমার, শুধু চোখের জ্যোতি অক্ষত রেখে! এমন ঘোর না সরালে আর কবে পাব সহজপথ? জানি, কেউ কেউ.. আমরা, সবটা- সর্বজয়া হতে গেলে পার হয়ে যায় কয়েক সন্ধি, অথচ আমরা ভেঙে দেই তাস। বালির নিচে মাথা ঘোঁজাই আর ভাবি এবারই লাশ..
দীনদার মোসলমান
রিদওয়ান নোমানী
আমার নানী ইশকুলে মোবাইল না নেওয়ার দুঃখ নিয়া ঘুমাইয়া যান সেজদায়।আমরা চোখগুলা জমা দিয়া মুখস্ত সিস্টেমের ভিতর হাঁটি _স্ক্রিনের দুনিয়ায়।
নবমীতে চা খাওয়ার দাওয়াত দিছিলেন যেই দিদি,তাঁর নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি লইয়া: বোঝার চেষ্টা করতেছি তালাল আসাদ।
..আর ওইদিকে মন্দির ভাঙার গর্ব নিয়া ফ্যালফ্যালাইয়া হাসতেছে দীনদার মোসলমান!
মানুষ হয়ে প্যাঁচাও ধর্মের গিলাফ
রুদ্র শায়ক
আমাকে মেরে তুমি কতটুকু পবিত্র হলে কিংবা কতটুকু শানিত হলো তোমার তৌহিদি তলোয়ার?
হাত রাখো বুকে জিগ্যেস করো নফসকে
মুখোমুখি হও স্রষ্টার
তুমি আমি আমরা একই স্রষ্টার সৃষ্টি
প্রচল সড়কে বাতিল বালক
মগজে করো পশুত্বের চাষ
আমাকে পুড়িয়ে দেখালে তোমার স্রষ্টার অনুরাগ
লীন হও চেতনায়
দেখ ফসলের মাঠে
সাদা ভাতের খোয়াবে মগ্ন সাদা মনের মানুষ
কোন খোদার কোন ভাত করে বিভাজন
ধর্মের ষাঁড় ফিরো মানুষের বিশ্বাসে
মানুষ হও মানবের সেবায় সাজাও ধর্মের গিলাফ।
ভালো থেকো মানুষেরা
শিমুল জাবালি
দরুদের নগরে, দিনান্তের দুপুরে, আহারে আহারে- কারা যেন মোচড়িয়ে ঘরে ঢুকে যায়…
ক্ষোভের তোড়ে, ঘরামি- বাতাসের বেগে-
উদাম বুদাম বুক নিয়ে ঝাঁপ মারে তারা- মাটির দেবতায়
রাতে ও বেয়াইনে, আহারে আহারে
কারা যেন উঁকি মারে তলপেটের আড়ালে
লিকলিকে জিহ্বায়
তখন…
আযানের সময়; কাউকে না কাউকে-
চুল খোলা রেখে- নিশ্বাস ফুঁক মারে- হাদিসের টবে।
যদি কারো মস্তকে আগুন না থাকে-
জানা নাই কি হয় তার কিংবা তাদের
যদি কারো চোখে ধুলোপড়া না থাকে- না থাকে বিশ্বাস তাহাদের ওপর-
তবে- পুড়ে যায় মন্দির-ভবিষ্যৎ-মানষিক সত্তা- যেন সাপলুডু হত্যা।
ঘুম তো নাই। শহরের ছাদে। দেহ কাঁদে। বুকে ঝুলে থাকে সংখ্যাগরিষ্ঠের আতর। আতর মেখে-টেখে সংসার সাজাতে গিয়ে চিন্তা হয় -আমার ঈশ্বর কি সংখ্যালঘু?
……ভেঙে গেছে নদী-সংসার, বহু আগে ডুব
পরবাসী রাধা সিঁদুর কেটে ডাকছে খুব
ফালিফালি কাটাদাগ দেখে গেছেন মা
দেখার যন্ত্রণা শৃঙ্খলে গেঁথে আছে যা
রক্তের ভেতর জ্যোৎস্না- রাগে গড়গড়ে
জমিন রয়েছে সাজানো, শেখের ঘরেঘরে……
এখন…
ঠোঁটে ঠোঁট ঘসে জ্বালিয়ে দিচ্ছো যজ্ঞের খাদ। মাষ্টারের শেখানো হাততালি দিয়ে, সে কি খিলখিল হাসি তোমাদের!
দিন…শেষে
ভালো নেই, ভালো থেকো মানুষেরা
উৎকন্ঠা
শুভ্র সরকার
মূঢ় নিরবতা
আতংকিত থেকে পালিয়ে এসেছে
আনন্দ সময়
প্রেম আর উন্মাদনা
ভয়ের ভেতর প্রশ্ন পরিত্যক্ত হয়েছে সারারাত
জোরালো পায়ে কারা
যদি উঠে আসে
একটি বাংলাদেশ! একটু দাঁড়াও..
মুহূর্তগুলো কাঁপছে
যেহেতু কে আর মানুষ
কে আর সত্যি, আমি নাকি আমরা?
জেনোসাইড
সঞ্জয় ঘোষ
জানো, সাইড করে রাখা জেনোসাইড থেকে
কিছুই বের হয়ে আসবে না
কিছু শিল্প আর কয়েক ছটাক সাহিত্য ছাড়া?
স্মৃতির ব্যবসাদারী চলবে, কাটতির পরিমাপে
এভাবে একদিন স্মৃতিও সাইড করে দেবে
তোমাকে আমাকে।
অথচ কত রাত্রির অন্ধকার আর হামলার নিচে
রক্ত মাংস আর কাটা কাটা শরীরের সাথে
স্মৃতি জমে আছে পৃথিবীর।
কিছু শিল্প আর সাহিত্য বেঁচে অছে।
গরু মহিষ হরিণ কিন্বা মানুষ, যারই হোক
ছিটকে আসা রক্ত শরীরকে নোংরা করে দেয়।
তাই লাল লাল দগদগে রক্তের সিরাপ ধুয়ে যায়..
[পৃথিবীর পথে পথে জেনোসাইড..
একদিন এইসবও সাইড হয়ে যাবে]
সস্তায় বিক্রী হচ্ছে বোধের গুঁড়ো দুধ
স্বরলিপি
একজোড়া স্যান্ডেলে পায়ের সুষম
খয়ে যাওয়া নিয়মে জোড়াতালি-হাততালি
মাথার খুলিতে নেই ধূলির ঘ্রাণ
পিৎজার অর্ডার নিয়ে ছুটে যাও ক্ষুধার্ত বকুল।
অব্যবহৃত স্বর্গ কিংবা নরক
মানুষের জন্য নেই-
গাছ অথবা গাছেদের হাড়গোড়
নদী অথবা পাথর
অধিগ্রহণ করে আছে মানুষের সব গন্তব্য।
অধর্ম করে না কুয়াশার হিম- মায়ায় পেতে রাখা বুক
ভাগের বৃক্ষ-
ছায়া সব মানুষের হোক।
আসছে বছর আবার হবে
সাকিব শাকিল
বিশ্বাসের কথা বলে বলে হন্তারক হাত এগিয়ে আসে
আর বিশ্বাসঘাতকেরা লুট করে নেয় এই মুল্লুকের শাড়ি
আমার শহর গ্রাম মহল্লাজুড়ে দুঃখেরা উলঙ্গ হয়
আকাশের দরজা জানালা বন্ধ হয়ে যায়
অন্ধকারে হি হি হেসে উঠে সাম্প্রদায়িক হাওয়া।
সংগীত বন্ধ হয়ে গেছে
নারী ও শিশুদের উল্লাস থেমে গেছে
জোরের মুল্লুকে আমরাও তাই জোর দিয়েই জেগে রবো!
প্রতিরোধের আগুন—এখন না জ্বালালে আর কবে?
কথা দিচ্ছি আসছে বছর আবার হবে।
অগাধ ধারণাপুঞ্জ হে, আমার
সাদিক সত্যাপন
মনে করি,
এইটা একটা কবিতা
যা আমি লেখতেছি এখন,
এইমাত্র খবর পাওয়া এক বেদনার তরে…।
এইখানে এই কবিতায়
লেখা তো যেতেই পারে—
আমি কোনো ধার্মিক না, কাফের না,
পলিটিশিয়ান না, ব্যবসায়ী না,
অমানুষ না, মানুষও না;
কিছু না হইলেও যে মহিমা বিরাজ করে
কিছু না থাকার মধ্যে,
এইটুকু বোঝার জন্যে
ধর্মগ্রন্থ
সংবিধান
ভেদবিধান
কবিতা
গল্প
কিছুই লাগে না যে, এইকথা যাবে না শোনা
খোদ আমারেই সীমাবদ্ধ কোরে।
রুহ যদি রুহের মর্মই না বোঝে—
এইটা একটা বালের কবিতা,
কে না জানে!
কারাবর্ণ দেশে
সামতান রহমান
স্নেহে মারা গেছি ভালোবাসাতেও
অনুগ্রহে গ্রাহ্যতা গেছে মায়াতেও
আশ্রয়ে হারিয়েছি স্থান দাঁড়াবার
তারপর
নৈবেদ্য থেকে উত্থিত নাকচ
ছাতিয়ে রেখেছিল প্রায়মৃতের শ্বাস
তাতেই দমের দেহ দিয়ে
প্রানের সন্ধান পাওয়া গেছে আমি
নয়ত ছিলাম যেন নাই
বাঁচিয়ে রাখে যা
তারে বাঁচিয়ে রেখেছি, এই অপরাধ।
অন্ধের পবিত্র লতা
সুজালো যশ
তোমার হৃদয়ের উপাসনালয় থেকে স্বচ্ছ কোন
ধ্বনি ভেসে আসে না পৃথিবীর কানে…
কপটের ছক প্রসারিত হয়ে ক্রমশ মুড়িয়ে নিচ্ছে অমিশ্রিত সামুরাই থিওরি
সময় এসে গেছে পর্দার আড়ালে যে নাটকের মহড়া চলছে তাকে মঞ্চায়িত করার
এবার দেখে নাও অবিমৃষ্যের অভিনয়ে ডেমোক্রেসির ঘাড় ভেঙে ঢুকে যায় হিপোক্রেটের নীতি
তবু ফেন্সিডিলের ফল ঝুলে আছে আমাদের জ্ঞানায়তনে।
ধর্মদাগ
সৈয়দ এনামুল তাজ
রমণীর তলপেটে মাতৃত্বের ফাঁটা দাগের মতোন পিতামহের কাঁধেও দাসত্ব লাঙলের দাগ ছিলো,
ছিলো আব্বার বাসর ঘরে আম্মার ভয় ভয় লাল লাল চোখের অহেতুক ভালোবাসা ভালোবাসা।
ইদানীং, গোসলখানায় দরোজা লাগিয়ে আমিও শরীরময় খুঁজি জন্মদাগের মতোন ধর্মদাগ
কিছুই নেই…
তাহলে কি আমি মানুষ নই?
শান্তি মরেছে রে
হিম ঋতব্রত
আমরা এই নরক ও ধ্বংসলীলায় মেতে—
হত্যা অথবা শান্তির সমস্ত পাতা পোড়তে পোড়াতে
সহজেই শিখেছি আগুনের অসৎ ব্যবহার…
হিংস্রো সীমারের দল
হেনরী স্বপন
মসজিদে যদি ইবাদত, ইদরিস থাকে?
মন্দিরে প্রার্থনা হয় শাঁখের সুরেলা ধ্বণি !
কোরান সুন্নাহ কি এতোই ঠুনকো যে, আজানের সুর
মোহম্মদের ক্ষমার বাণী হাতে তুলে
মৌমাছি দ্বিগ্বিদিক ছুটছে হিংস্রো সীমারের দল;
নানুয়া ধীঘির পারে অসুর-এজিদ একাকার রূপে
কারবালা হয়ে ওঠে পূজোর মণ্ডপ, ভাঙে উপাচার,
রমণী দেহের লোভে, এ কেমন জঙ্গি হানাদার ফের
হামলে পড়ছে এই বাংলায় আবার?
এই বাংলা মাবুদের, বুদ্ধ ভগবান, যিশু মুর্শিদের,
হাছন লালন জীবনানন্দের…
তফসির নামে ধর্মীয় লুটেরা যখন নারীর আব্রু
খুলে ফেলে, সে কাফের!
কদাচার লোভ নষ্ট রাজনীতি
আজ অজাচার হয়ে গেছে,
মানুষের পাপ, শৃঙ্গ দানব ভঙ্গিতে হামলে পড়ছে ব্যাঘ্রচিতা
রামুতে মন্দির ও মায়ের বুকে।